নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজধানীর সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ সাংবাদিক সমিতির সভাপতি শেখ জাহাঙ্গীর আলমকে উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে ক্যাম্পাস থেকে এ এস আই জাহাঙ্গীর পরিচয়ে আটক করা হয়েছে। জানা গেছে, সূত্রাপুর থানার ওসি সাইফুল ইসলামের নির্দেশে আটক করা হয়। জুলাই বিপ্লবের মধ্য দিয়ে দেশ থেকে স্বৈরাচারের পতন হয়। এই বিপ্লবে অংশ নিয়েছে দেশের ছাত্রসমাজ থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ। তারই ব্যতিক্রম ছিল না পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী কলেজ সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ। স্বৈরাচার পতন আন্দোলনে সোহরাওয়ার্দী কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি কলেজের অনেকগুলো সংগঠন কাজ করেছেন। তাদের মধ্যে অন্যতম কলেজ শাখা সাংবাদিক সমিতি। আন্দোলনের প্রথম থেকে মাঠে থেকে শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছে। বুধবার( ৩০ অক্টোবর) দুপুরের দিকে সূত্রাপুর থানার ওসি সাইফুল ইসলামের নির্দেশে সোকসাস এর সভাপতি শেখ জাহাঙ্গীর আলমকে আটক করে নিয়ে যায়।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয় সে সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের সাথে যুক্ত । কলেজ শাখা ছাত্রদলের পক্ষ থেকে এই অভিযোগটি করা হয়। ২০২১ সালে কিছু ফেসবুক পোস্ট কে কেন্দ্র করে সোকসাসের সভাপতি শেখ জাহাঙ্গীর আলম কে গ্রেফতার করা হয় । তবে সোহরাওয়ার্দী কলেজ সাংবাদিক সমিতি ২০২২ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে নির্বাচিত হন। এরপর সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয় শেখ জাহাঙ্গীর আলম। সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে রাজনীতির সাথে সকল সম্পর্ক শেষ করে দেয়। এবং একজন সাধারন শিক্ষার্থী হিসেবে ক্যাম্পাসের সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে লেখা লেখি শুরু করে দেয়। বর্তমানে তিনি সোকসাস'র সভাপতি হিসেবে আছেন। ২০২৪ সালে জুলাই বিপ্লবে স্বৈরাচারের বিপক্ষে কথা বলতে দেখা যায় শেখ জাহাঙ্গীর আলমকে।
জুলাই বিপ্লবে আহতদের দেখতে হাসপাতালে যায় শেখ জাহাঙ্গীর আলম। সাধারণ শিক্ষার্থীদের মতে শেখ জাহাঙ্গীর আলম কখনোই ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের জন্য কাজ করেনি। কলেজ শাখা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে শেখ জাহাঙ্গীর আলমকে নির্দোষ বলার পরেও সূত্রাপুর থানার ওসি তাকে ছাড়তে অস্বীকৃতি জানায় । এই বিষয়ে সুত্রাপুর থানার ওসি সাইফুল ইসলামকে বারবার মোবাইলে কল দেওয়ার পরেও তিনি কল রিসিভ করেন নি।