কিশোরগঞ্জে গৃহবধূর মৃত্যু স্বামীসহ পরিবার পলাতক দৈনিক পত্রিকা দৈনিক পত্রিকা প্রকাশিত: ৩:৫২ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২২, ২০২৪ নিজস্ব প্রতিবেদক। কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার চৌদ্দশত ইউনিয়নের নলিয়ারচর গ্রামে বন্যা আক্তার (১৯) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (২১ অক্টোবর) সদর উপজেলার চৌদ্দশত ইউনিয়নের নলিয়ারচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামীসহ পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে। নিহত বন্যা আক্তার সদর উপজেলার যশোদল ইউনিয়নের ধলিয়ারচর গ্রামের মো. হানিফ মিয়ার ২য় সন্তান ও চৌদ্দশত ইউনিয়নের জশিয়াইল গ্রামের আ. আওয়াল মিয়ার ছেলে নয়ন মিয়া স্ত্রী। স্থানীয়রা জানান, তাদের বিয়ের পর থেকেই ঝগড়া-বিবাদ চলছিল। নিহত গৃহবধূ চাইতো শাশুড়ির সংসার থেকে আলাদা হতে। কিন্তু স্বামী মায়ের থেকে আলাদা হবে না। এনিয়ে কয়েকটি সামাজিক দরবারের পর সমাধান হলেও আজ সকালে তার নিজ গৃহ থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত গৃহবধূর বাবা আবু হানিফ জানায়, খবর পাই আমাদের মেয়ে মারা গেছে। সঙ্গে সঙ্গে আমরা মেয়ের স্বামীর বাড়িতে চলে আসি। এসে দেখি খাটের ওপর মেয়ের মরদেহ পড়ে আছে। থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ নিয়ে যায়। তিনি বলেন, ‘বন্যার বিয়ের পর থেকে শাশুড়ি মানসিক অত্যাচার ও নির্যাতন করত। মেয়ে অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে কয়েকবার আমাদের বাড়িতে চলে আসে। পরে কয়েকটি সামাজিক দরবার করে মেয়েকে পাঠালে শাশুড়ি ও মেয়ের স্বামী মেয়েকে কয়েকবার মারধর করেছে। কিছুদিন পূর্বে মেয়ে তার স্বামীকে প্রস্তাব করেছিল সে আর শাশুড়ির সংসারে একসাথে থাকবে না। সংসার আলাদা করতে। সেই জেরে মা ছেলে মিলে আমার মেয়েকে মেরে ফেলেছে’। পরিকল্পিতভাবে মেয়েকে মেরে পালিয়েছে তারা। এমনকি তাকে হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থাও করেনি তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন। কিশোরগঞ্জের মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ্যামল মিয়া জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে। SHARES প্রচ্ছদ বিষয়: