‎শিক্ষক নিয়োগ: কপাল খুলতে পারে সুপারিশ বঞ্চিতদের, পরীক্ষা পদ্ধতিতেও আসছে বদল ‎ ‎

প্রকাশিত: ৮:১৮ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৭, ২০২৫

দৈনিক পত্রিকা অনলাইন ডেস্ক।

‎বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) পরীক্ষা পদ্ধতিতে বড় পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে। শিক্ষক নিয়োগে একাধিক অধিদপ্তরে একই বিষয়ের জন্য ভিন্ন ভিন্ন যোগ্যতার মানদণ্ড থাকায় জটিলতা সৃষ্টি হয়। এ সমস্যা নিরসন এবং পরীক্ষা পদ্ধতি পরিবর্তনে নানা প্রস্তাব দিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।

‎বুধবার (২৭ আগস্ট) এনটিআরসিএর পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে এক কর্মশালার এসব বিষয় উঠে এসেছে। কর্মশালায় উপস্থিত একাধিক কর্মকর্তা তথ্য জানিয়েছেন।

‎কর্মশালায় উপস্থিত কর্মকর্তারা জানান, মাদরাসা ও কারিগরি পর্যায়ের শিক্ষকদের জন্য বিষয়ভিত্তিক ১৪০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষার প্রস্তাব এসেছে। সব প্রস্তাব চূড়ান্ত করে এনটিআরসিএ থকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।

‎এছাড়াও বাংলা, ইংরেজি ও অন্যান্য সাধারণ বিষয়ে একই পদবি থাকলেও ভিন্ন যোগ্যতার কারণে প্রার্থীদের বাছাইয়ে সমস্যা হচ্ছে। প্রার্থীদের যোগ্যতার প্রমাণপত্র যাচাই করে দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করার উদ্যোগ নেয়া হবে। যেসব প্রার্থীর সার্টিফিকেট বা প্রতিষ্ঠানসংক্রান্ত সীমাবদ্ধতা থাকলেও যোগ্যতা রয়েছে, তাদের দ্বিতীয় পর্যায়ে সুপারিশের প্রস্তাব করা হয়েছে।

‎কর্মশালার উদ্বোধন করেন এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান মো. আমিনুল ইসলাম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এনটিআরসিএর প্রশাসন ও অর্থ অনুবিভাগের সদস্য এরাদুল হক। কর্মশালাটি সঞ্চালনা করেন এনটিআরসিএর সচিব এ এম এম রিজওয়ানুল হক।

‎এ কর্মশালায় আমন্ত্রন জানানো হয়েছিলো তিন অধিদপ্তর প্রতিনিধিদের। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, দুই বিভাগের প্রতিনিধি, এনসিটিবি, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান, এনটিআরসিএ কর্মকর্তাসহ আরো অনেকে।

‎জানতে চাইলে কর্মশালায় উপস্থিত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, অধিদপ্তরের একই বিষয় আছে, ধরেন বাংলা, ইংরেজি তিন অধিদপ্তরে এ ধরনের যেসব কমন বিষয়। দেখা গেছে অধিদপ্তরে ভিন্ন-ভিন্ন যোগ্যতা থাকায় আমাদের ঝামেলা হয়। এটাতে বলা হয়েছে সবার জন্য একই যোগ্যতা করতে। অধিদপ্তরে একই পদ যেগুলো আছে, সেগুলোর যোগ্যতা একই রাখার জন্য বলা হয়েছে।

‎এটা যদি দ্রুত সম্পন্ন হয় তাহলে আমরা যেসব পদগুলো বাকি আছে, ফাঁকা আছে, পাস করা অনেকে আছে না? তাদের যোগ্যতা হয়তো আইসিটি কিন্তু তার সার্টিফিকেট জেনারেল ও মাদরাসায় ফাঁকা। যেতে পারছেনা। যদি যোগ্যতার বিষয়টি হয় তাহলে সেখানে আমরা হয়তো দুই-তিন হাজার লোক সুপারিশ করতে পারবো। এ বিষয়গুলো মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন আকারে সাবমিট করবে।

‎এই ছিল একটা বিষয়। আর একটা বিষয় ছিলো, পরীক্ষা পদ্ধতি কীভাবে হবে। পরীক্ষা পদ্ধতি কত নম্বরে হবে, সেসব বিষয়। পরীক্ষা পদ্ধতিতে ১০০ আরো ১০০ মোট ২০০ নাম্বার প্রস্তাব উঠেছিলো। মাদরাসা ও কারিগরিদেরকে একটু ছাড় দেয়ার জন্য প্রস্তাব উঠেছে। তারা বলছে বিষয় ভিত্তিক এমসিকিউ ১৪০ এবং আবশ্যিক ৬০ নম্বরের পরীক্ষা। মাদরাসা ও কারিগরি, জেনারেল তিন বিভাগের জন্যই হলে হতে পারে এটা। এসব বিষয়ে প্রতিবেদন তৈরি করে মন্ত্রণালয় পাঠাবে। যদি এগুলো করা সম্ভব হয় তাহলে আরো দুই বা আড়াই হাজার প্রার্থীকে মন্ত্রণালয়ের অনুমতি সাপেক্ষে সুপারিশ করা হতে পারে।