মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী। দৈনিক পত্রিকা দৈনিক পত্রিকা প্রকাশিত: ২:১১ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৭, ২০২৪ শারফুদ্দীন সোহেল, ঢাকা: আমৃত্যু অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে ভুখা-নাঙ্গা গণমানুষের মন জয় করেছিলেন মওলানা ভাসানী। তার আন্দোলন ছিলো সাম্রাজ্যবাদ, ঔপনিবেশিকতা ও সামন্তবাদের বিরুদ্ধে। আজ তার ৪৮ তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৭৬ সালের এই দিনে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (তৎকালীন পিজি) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যু বরণ করেন। পরে টাঙ্গাইলের সন্তোষে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়। ন্যাপ (ভাসানী), ভাসানী পরিষদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সমাজিক সংগঠন ঢাকা ও টাঙ্গাইলসহ বিভিন্ন জেলায় দিনটি উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কিংবদন্তি এ মহান জননেতার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রোববার সকাল সাড়ে ৭টায় ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল আজীম আখন্দের নেতৃত্বে ভাসানীর মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। সকাল ৮টায় মাজার প্রাঙ্গণে তবারক বিতরণ হবে। এরপর বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২তলা একাডেমিক ভবনের সেমিনার কক্ষে সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়া মাহফিল হবে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারাও সন্তোষে তার মাজারে শ্রদ্ধা জানাবেন। মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের ধানগড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তবে সিরাজগঞ্জে জন্ম হলেও মাওলানা ভাসানী তার জীবনের বড় অংশই কাটিয়েছেন টাঙ্গাইলের সন্তোষে। তিনি তার কৈশোর-যৌবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। দীর্ঘদিন তিনি তৎকালীন বাংলা-আসাম প্রদেশ মুসলিম লীগের সভাপতি ছিলেন। মাওলানা ভাসানী দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের মুক্তির জন্য সারা জীবন সংগ্রাম করেছেন। তিনি ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট গঠনকারী প্রধান নেতাদের মধ্যে অন্যতম। ১৮৯৭ সালে পীর সৈয়দ নাসীরুদ্দীনের সঙ্গে আসাম যান ভাসানী। ইসলামিক শিক্ষার উদ্দেশ্যে ১৯০৭ সালে দেওবন্দ গিয়ে দুই বছর অধ্যয়নের পর আসামে ফিরে আসেন। ১৯১৭ সালে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ ময়মনসিংহ সফরে এলে তার ভাষণ শুনে অনুপ্রাণিত হন ভাসানী। ১৯১৯ সালে কংগ্রেসে যোগদানের পর খেলাফত আন্দোলন ও অসহযোগ আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে ১০ মাস কারাভোগ করেন। ১৯২৬ সালে আসামে প্রথম কৃষক-প্রজা আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটান তিনি। ১৯২৯ সালে আসামের ধুবড়ী জেলার ব্রহ্মপুত্র নদের ভাসানচরে প্রথম কৃষক সম্মেলন করেন। এরপর থেকে তার নামের শেষে ভাসানী যুক্ত হয়। রাজনীতির পাশাপাশি সমাজ সংস্কারমূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন ভাসানী। SHARES জাতীয় বিষয়: